সপ্তদশ শতাব্দীর মনসামঙ্গলের অন্যতম কবি হলেন কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ কেতকাদাস বর্ধমান জেলার অন্তর্গত কাঁদড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।ক্ষেমানন্দের কাব্যে মনসা
সপ্তদশ শতাব্দীর মনসামঙ্গলের অন্যতম কবি হলেন কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ
কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ
সপ্তদশ শতাব্দীর মনসামঙ্গলের অন্যতম কবি হলেন কেতকাদাস ক্ষেমানন্দ কেতকাদাস বর্ধমান জেলার অন্তর্গত কাঁদড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।ক্ষেমানন্দের কাব্যে মনসার নাম 'কেতকা'। কারণ কেয়াপাতায় তাঁর জন্ম হয়েছিল।
কবির আসল নাম ক্ষেমানন্দ। মনসা বা কেতকার দাস বলেই 'কেতকাদাস' উপাধি গ্রহণ করেন। মনসার পরমভক্ত বলেই কাব্যের স্থানে স্থানে কেতকাদাসের উল্লেখ আছে। সুতরাং কেতকাদাস ও ক্ষেমানন্দ একই ব্যক্তি।
অনুমান করা হয়, ১৬৪০ খ্রিস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে কেতকাদাস তাঁর কাব্যটি রচনা করেন।কেতকাদাসের কাব্য গুলি ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে মুদ্রিত হয়।
সহৃদয়তা ও সরলতা কেতকাদাসের কাব্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য। তাঁর ভাষা স্বচ্ছ-সরল-প্রসাদগুণসম্পন্ন এবং গ্রাম্যতা দোষমুক্ত। রচনার সর্বত্রই কবি উচ্চতর আদর্শ রক্ষা করতে পেরেছেন এবং শিথিলতা বর্জন করেছেন।
কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের কাহিনির অভিনবত্ব হল মনসার কেয়া বনে জন্ম (কেয়া পাতে জন্মাইল কেতকাসুন্দরী) – কবির কাহিনির অভিনবত্ব।
মনসামঙ্গল কাব্যে কেতকাদাসের ভৌগোলিক জ্ঞান ও ঐতিহাসিক তথ্যনিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত হল কবির ভৌগোলিক জ্ঞান ও ঐতিহাসিক তথ্যনিষ্ঠার পরিচয় মেলে বেহুলার স্বর্গপুরী অভিমুখে যাত্রার মধ্যে। পশ্চিমবাংলার গ্রাম, পথঘাট ও নদনদীর নিপুণ বর্ণনা রয়েছে। কলার মান্দাসে বেহুলা স্বর্গের দিকে ভেসে চলেছেন। সাঁতালি থেকে স্বর্গ পর্যন্ত বেহুলার যাত্রাপথে কবি দামোদর ও তার শাখা নদীগুলির নিখুঁত বর্ণনা দিয়েছেন। বাইশটি ঘাটের যে বর্ণনা দিয়েছেন, তার মধ্যে চোদ্দটি ঘাট এখনও বর্তমান। চাঁদ সদাগরের বাণিজ্যপথের বর্ণনায় কবি বাস্তব ভৌগোলিক তথ্য ও পরিবেশ তুলে ধরেছেন।।
COMMENTS